ঢাকা , বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ , ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহআমানত সেতুর টোল আদায়ে ধীরগতি, কর্মচারীকে মারধোর

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট সময় : ২০২৫-০১-২৭ ১৫:১৯:৫৭
শাহআমানত সেতুর টোল আদায়ে ধীরগতি, কর্মচারীকে মারধোর শাহআমানত সেতুর টোল আদায়ে ধীরগতি, কর্মচারীকে মারধোর



এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম 

চট্টগ্রামে কর্ণফুলীর শাহ আমানত সেতুর টোল আদায়ে ধীরগতি হওয়ায় বিএনপি নেতার হাতে এক কর্মচারীকে লাঞ্ছিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজায় এ ঘটনা ঘটে। লাঞ্ছিত হওয়া ওই কর্মচারী টোল কতৃপক্ষের কম্পিউটার অপারেটর। তার নাম মোহাম্মদ ইমন (২৮)। সে ঘটনার সময় টোলপ্লাজায় টোল আদায়ে দায়িত্বে ছিলেন। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা হলেন জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন।

ঘটনাসূত্র ও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, টোল আদায়ে ধীরগতি হওয়ায় ওই বিএনপি নেতা গাড়ি থেকে নেমে টোল আদায়ের ওই কর্মচারীকে শার্টের কলার ধরে টেনে গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

জানা গেছে, ওইদিন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের গাড়ি বহর সাতকানিয়ার একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে টোলপ্লাজা পার হচ্ছিল। একই সাথে একটি গাড়িতে বিএনপির এই নেতাও ছিলেন। বহরের গাড়িগুলোর মধ্যে সাদা ও কালো রঙের কয়েকটি প্রাইভেটকার ছিল, যেগুলোর নম্বর যথাক্রমে-চট্টমেট্রো গ ১১-৯৯১৩, চট্টমেট্রো চ ১১-৯৯৬৬, চট্টমেট্রো গ ১৩-৩৪৬৯, চট্টমেট্রো গ ১১-১০৬২, চট্টমেট্রো ঘ ১১-৪৬২৯। গাড়িগুলো ধীরে ধীরে টোলপ্লাজা অতিক্রম করছিল। ওই সময় অভিযুক্ত এই নেতা টোল আদায়ে দেরি হওয়াতে ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে টোলপ্লাজার বুথে প্রবেশ করে এ ঘটনা ঘটান।

তবে টোলপ্লাজার কর্মীরা জানান, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় বিভিন্ন কারণে গাড়ির চাপ বেশি থাকে এবং যানজটের কারণে কিছুটা সময় লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাজমুল মোস্তফা আমিন এ ঘটনা ঘটান।

ইজারাদার প্রতিষ্ঠান সেল-ভ্যান জেভির প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুমন ঘোষ বলেন, শুক্রবারে গাড়ির চাপ বেশি থাকে। ওইদিন এতে একজন ব্যক্তি অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে কর্মীদের গালিগালাজ করেন এবং কম্পিউটারে আঘাত করেন। বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও এ ধরনের আচরণ নিন্দনীয়। তবে বিষয়টি আমরা সড়ক ও জনপদ বিভাগকে জানিয়েছি।

এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা নাজমুল মোস্তফা আমিন বলেন, ওইদিন জুমার নামাজ শেষের পথে আমি নামাজ পড়ার জন্য তাদের ক্যাশ টাকা দিতে চেয়েছিলাম। বলছিলাম প্রতিদিন তো কম্পিউটারের মাধ্যমে টাকা নেন। আজকে শুক্রবার মানুষ বেশি। ক্যাশে আপনারা টাকা নিলে যানজটটা একটু কমে আসবে। এতটুকুই ঘটনা। আর আমি কাউকে লাঞ্ছিত কিংবা মারধর করেনি।

এ ব্যাপারে কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ